নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায় সমবায় অফিসের নিবন্ধন নিয়ে ঋণ কার্যক্রম চালাচ্ছে গ্রীন ও জননী সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ। জামানতের নামে নিচ্ছে ব্লাংক চেকের পাতা। শেয়ার বিক্রয় ছাড়াই শুধুমাত্র সঞ্চয় জমা নিয়ে দিচ্ছে ঋণ। জামানতের নামে ব্যাংক চেকের পাতা নিয়ে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,গোদাগাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামে গ্রীন ও জননী সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ নামের প্রতিষ্ঠান দুটি সমবায় থেকে নিবন্ধন (১১৭৬/২০১৭)ও(১২৭৪/২০১৮) নিয়ে ঋণ কার্যক্রম চালাচ্ছে বাসুদেবপুর,মোহনপুর,গোদাগাড়ী,ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কিছু ইউনিয়নব্যাপী যদিও বা অনুমোদন আছে গোদাগাড়ী উপজেলার দুই ইউনিয়ন ব্যাপী সভ্য সদস্যদের মাঝে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবসা পরিচালনা করান।

দরিদ্র নারী-পুরুষদের ঋণ দিচ্ছে সমিতি দুটি। সমিতির সদস্যদের কাছে শেয়ার বিক্রয় না করে শুধুমাত্র সঞ্চয় জমা নিয়ে এলাকার সহজ সরল মানুষদের মাঝে দিচ্ছে ক্ষুদ্রঋণ। যে ঋণ গ্রাহকরা দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ১৫% সুদ সহ কিস্তির মাধ্যমে মুলধন পরিশোধ করছে।

যা সমবায়ের আইন অনুযায়ী ১০% এর বেশি সুদ নিতে পারবেনা,সমবায় আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ডিপিয়েসের নামে করছে আমানত সংগ্রহ, এবং প্রতিষ্ঠানটি ঋণের বিপরীতে ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে জামানতের নামে নিচ্ছে ব্যাংক চেক বইয়ের সাক্ষরকৃত ব্লাংক পাতা।

লস্করহাটী গ্রামের মাসুমা বেগম (ছদ্মনাম) বলেন, ‘আমি ওদের কাছ থেকে লোন নিলাম। তারা বলে সব সমিতি এক রকম লাভ নেয়। বলে আমরা তোমাদের নিজেদের এলাকার সমিতি। আমাদের কাছ থেকে লোন নিলে সুদ কম নিবো। আসলে সব সমিতি এক রকম সুদ নেয়। অন্যান্য সমিতি চেক নেয় না। কিন্তু এলাকার সমিতি গ্রীন নেয়।

জননী সমবায় সমিতি লিঃ এর অফিসে গিয়ে অনিয়ম বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,আমার হাতে সময় নেয় আমি মাঠে কালেকশনের উদ্দেশ্যে বের হবো, আপনার যা জানার সমবায় অফিসে গিয়ে জানেন সমবায় অফিস ম্যানেজ করে আমরা ব্যবসা করছি।

এদিকে গ্রীন স.স.লি. সভাপতি মো. তরিকুল ইসলামের কাছে অনিয়মের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আপনাদের থেকে বড় বড় সাংবাদিক ও সমবায় অফিসার ম্যানেজ করে আমরা ব্যবসা করছি আপনাদের যা করার আপনারা করতে পারেন।

‘আমাদের ঋণ দেওয়ার আইন আছে। সমবায় সমিতিরা ঋণ দিতে পারে। আগে বুঝতে হবে, এটি হলো সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতি। ঋণ দেয়া যায় আমরা এমনি এমনি ঋণ দেই না।

সঞ্চয় জমা নিয়ে তারপর ঋণ দেই। তবে টাকা আদায়ের স্বার্থে আমাদের অনেক কিছু করা লাগে। অনেক টাকা অনাদায়ী হয়। এ কারণে সুদের মাত্রাটা একটু বেশি থাকে। বোঝেনতো, সমিতি চালাতে গেলে অনেক খরচ লাগে।’

এই বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো.জিগার হাসরতে এর কাছে সমিতি দুটির অনিয়ম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
আমি গোদাগাড়ীতে নতুন এসেছি ,তবে সমবায় থেকে নিবন্ধনপ্রাপ্ত সমিতি কোন সদস্যের কাছে থেকে ব্লাংক চেক জমা রেখে ঋণ দিতে পারে না।

তাছাড়া শেয়ার ক্রয় না করলে সে সমিতির সদস্য হতে পারে না এবং তাকে ঋণ দেয়া যায় না,এবং নিজ কর্ম এলাকার বাইরে কাওকে সদস্য করা যাবেনা ,যদি এই সমিতি দুটি সমবায় আইনের বাইরে কিছু করে থাকে তা আইন বহির্ভূত কাজ করেছে তাদের আইনের আওতায় এতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহগ করা হবে বলে তিনি সাংবাদিক দের জানান।